Header Ads

Header ADS

নামাযের মুস্তাহাবসমূহ

নামাযের মুস্তাহাবসমূহের মধ্যে রয়েছে




(১) তাহরীমার সময় পুরুষ কর্তৃক স্বীয় দুই হস্ততালু আস্তীন থেকে বের করা, 
(2) নামাযরত ব্যক্তির দাঁড়ানো অবস্থায় সিজদার জায়গায়, রুকুতে থাকা অবস্থায় পায়ের পাতার পিঠের উপর, সিজদারত অবস্থায় নাকের বাঁশির উপর, বসা অবস্থায় কোলের উপর এবং সালাম ফেরানোর সময় দুই কাঁধের উপর দৃষ্টি রাখা, 
(৩) যথাসম্ভব কাশি বারণ করা, 
(৪) হাই তোলার সময় মুখ বন্ধ রাখা, 
(৫) ইকামতের সময়  حي علي الفلاح  বলার পূর্বেই দাঁড়ানো'',( অর্থাৎ حي علي الفلاح বলার পূর্বে দাঁড়িয়ে যাওয়া মুস্তাহাব। বিশেষ করে নামাযের সফ সোজা করা যে ওয়াজিব তার প্রতি লক্ষ্য করে পূর্বেই দাঁড়িয়ে যাওয়া উচিত। حي علي الفلاح এর পর পর্যন্ত দাঁড়াতে বিলম্ব
করা ঠিক নয়। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া, ২য় খন্ড, পৃঃ ১১৫)

(৬)   قدقامت الصلوة  বলার সময় ইমামের নামায শুরু করা,(ইমাম আবূ ইউসুফ (রহ) বলেন, ইকামত শেষ হওয়ার পর ইমাম নামায শুরু করবে। কেননা, এতে ইকাম- তদাতাও একই সাথে নামায শুরু করার এবং প্রথম তাকবীরে শরীক হওয়ার সুযোগ পায়। (মারাকী, শামী)।


 ঃ নামায আদায়ের পদ্ধতি ঃ
যখন কোন পুরুষ নামায শুরু করতে ইচ্ছা করবে তখন সে তার দুই হস্ততালু তার জামার আস্তীন থেকে বের করবে, তারপর উভয় হস্ততালু তার কান বরাবর তুলবে। এরপর নামাযের নিয়্যত করে আল্লাহ আকবার- হামযায় টান না দিয়ে বলবে।

এমন যে কোন যিক্র দ্বারা নামায শুরু করা শুদ্ধ, যা কেবল আল্লাহ তা'আলারই স্তুতি, প্রশংসা ও সম্মান বুঝায়; যেমন ঃ সুবহানাল্লাহ। যদি আরবী বলতে বা উচ্চারণ করতে অপারগ হয় তবে ফারসী শব্দে ও নামায শুরু করা শুদ্ধ হবে। যদি আরবী উচ্চারণ করতে সক্ষম হয় তবে ফারসী শব্দে নামায শুরু করা শুদ্ধ হবে না এবং বিশুদ্ধতম অভিমত অনুযায়ী ফারসী ভাষায় কেরাআত পড়াও শুদ্ধ হবে না ।

তাহরীমার পর কোন রকম বিলম্ব ব্যতিরেকেই সে তার নাভির নিচে ডান হাতকে বাম হাতের উপরে রাখবে।
এমত অবস্থায় সে ইসতিফতাহ করবে অর্থাৎ সে বলবে
سبحانك اللهم وبحمدك وتبارك اسمك وتعالى جدك ولااله غيرك 
এবং প্রত্যেক নামাজরত ব্যক্তি ইস্তেপ্তার করবে এরপর কেরাতের উদ্দেশ্যে নিম্নসারে
اعوذ بالله من الشيطان  "الرجيم (অর্থাৎ, কেরাআতের ভূমিকা স্বরূপ আ'উযু বিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়বে। কাজেই নামাযে যার উপর কেরাআত পড়া ওয়াজিব তারই আ'উযু বিল্লাহ ও বিল্লামিল্লাহ পড়তে হবে এবং যার উপর কেরাআত পড়া ওয়াজিব নয় তার এ দু'টো পড়তে হবে না । যেমন মুক্তাদীর আ'উযুবিল্লাহ ও বিল্লামিল্লাহ পড়তে হয় না, কিন্তু মাসবূক ব্যক্তি তার অবশিষ্ট নামায পূর্ণ করার সময় এ দু'টো পড়বে। )

ঈদের নামাযে (প্রথম রাকআতে) তাকবীরগুলোর পর আউযু পড়বে। এরপর নিম্নস্বরে বিসমিল্লাহ পড়বে এবং প্রত্যেক রাকআতে কেবল সূরা ফাতেহার পূর্বে বিসমিল্লাহ পড়বে। তারপর সূরা ফাতেহা পড়বে এবং ইমাম ও মুক্তাদী নিম্নস্বরে “আমীন” বলবে। তারপর একটি সূরা অথবা (ন্যূনতম পক্ষে) তিনটি আয়াত পড়বে। অতঃপর আল্লাহু আকবার বলে, ধীর ও স্থিরভাবে, নিতম্বের সাথে মাথাকে সমানে রেখে, হাতের আঙ্গুলগুলোকে ফাঁকা ফাঁকা করে, দুই হাত দ্বারা দুই হাঁটু শক্ত করে ধরে রুকূ করবে এবং রুকূতে তিনবার    سبحان ربی  لعظيم বলবে। এটা হল তাসবীহের সর্ব নিম্ন পরিমাণ। এরপর মাথা তুলবে এবং যদি নামাযরত ব্যক্তি ইমাম অথবা একাকী নামাজ পালনকারী হয় তবে সে 
سمع الله لمن حمده - ও - ربنا لك الحمد বলে ধীর ও স্থির ভাবে দাঁড়াবে।
আর মুক্তাদি শুধুমাত্র ربنا لك الحمد বলবে।

এরপর আল্লাহ আকবার বলে সিজদার প্রতি ঝুঁকবে এবং ভূমিতে দুই হাঁটু রাখবে, তারপর দুই হাত রাখবে, তারপর দুই হাতের তালুর মাঝখানে চেহারা রাখবে এবং ধীর ও স্থিরভাবে তিনবার
سبحان ربي العلي বলে নাক ও কপাল দ্বারা সিজদা করবে। এটা হল তাসবীহের সর্বনিম্ন

(সিজদারত অবস্থায়) দুই হাত ও দুই পায়ের আঙ্গুলগুলো কেবলামুখী করে— লোকের ভিড় না হলে- পেটকে দুই উরু থেকে এবং দুই বাহুকে দুই বগল থেকে পৃথক রাখবে। মহিলা (সিজদার সময়) নিচু হয়ে সিজদা করবে এবং তার পেটকে তার উরুর সাথে মিলিয়ে রাখবে। দুই সিজদার মাঝে দুই হাত উরুর উপর রেখে ধীর ও স্থিরভাবে বসবে। পুনরায় আল্লাহ আকবার বলবে এবং ধীর ও স্থিরভাবে সিজদা করবে। সিজদায় তিন বার  سبحان ربي العلي বলবে । পেটকে দুই উরু থেকে পৃথক রাখবে এবং দুই বাহু খোলা রাখবে। তারপর হাত দ্বারা ভূমিতে ভর না দিয়ে এবং না বসে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্যে আল্লাহ আকবার বলে মাথা উত্তোলন করবে । দ্বিতীয় রাকআত প্রথম রাকআতের মতই, তবে দ্বিতীয় রাকআতে সানা পড়বে না এবং আ'উযুবিল্লাহ পড়বে না। (নিম্নে বর্ণিত) এ সকল স্থান ব্যতীত অন্য কোন স্থানে দুই হাত তোলা সুন্নত নয়" (অর্থাৎ, এই এগারটি স্থানে হাত উঠানো সুন্নত। এ ছাড়াও দোয়া করার সময় হাত তোলা সুন্নত। এগুলো ব্যতীত রুকূতে যাওয়ার সময় অথবা রুকূ থেকে উঠার সময় হাত উঠানো সুন্নত নয় । উপরে উল্লিখিত এগারটি স্থানে হাত উঠানো সুন্নত বটে, তবে হাত উঠানোর ধরন বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকমের । যেমন ঃ নামায শুরু করার জন্য, বিতরের কুনূতের জন্য এবং ঈদের নামাযের অতিরিক্ত তাকবীরের জন্য কান বরাবর হাত তুলতে হবে। হজরে আসওয়াদে চুমু দেওয়ার সময় এবং পাথর নিক্ষেপের সময় হাত তোলা হবে কাঁধ পর্যন্ত । তবে হজরে আসওয়াদে চুমু দেওয়ার সময় হাতের তালুর পেট থাকবে হজরে আসওয়াদের দিকে এবং পাথর নিক্ষেপের সময় হাতের তালুর পেট থাকবে কা'বা শরীফের দিকে। বাকী পাঁচ জায়গায় হাত তুলবে দোয়ার মত করে, হাতের তালুর পেট থাকবে নিজ চেহারার দিকে । (মারাকী, বাহরুর রায়েক) 

যেমন :
(১) যে কোন নামায শুরু করার সময়, 
(২) বিতরের নামাযে দোয়ায়ে কুনূতের তাকবীর বলার সময়, 
(৩) দুই ঈদের নামাযে অতিরিক্ত তাকবীরগুলো বলার সময়, 
(৪) যখন কা'বা শরীফ নজরে পড়ে, 
(৫) হজরে আসওয়াদে চুমু দেওয়ার সময়, 
(৬) সাফা ও মারওয়ায় দাঁড়িয়ে, 
(৭) আরাফার ময়দানে অবস্থান কালে, 
(৮) মুযদালেফায় অবস্থান কালে, 
(৯) (মিনার ময়দানে) প্রথমবার পাথর নিক্ষেপের পর, 
(১০) দ্বিতীয়বার (মধ্যবর্তী জামরায়) পাথর নিক্ষেপের পর, 
(১১) নামাযের পর তাসবীহাত থেকে অবসর হয়ে দোয়া করার সময় ।

যখন কোন পুরুষ দ্বিতীয় রাকআতের দুই সিজদা থেকে অবসর হবে তখন সে তার বাম পা (-এর পাতা) বিছিয়ে দেবে এবং তার উপর বসবে, আর তার ডান পা (-এর পাতা) দণ্ডায়মান রাখবে এবং তার আঙ্গুলগুলো কেবলামুখী করবে। দুই হাত দুই উরুর উপর রাখবে এবং হাতের আঙ্গুলগুলো খুলে রাখবে। মহিলা ভূমিতে নিতম্ব রেখে বসবে। তারপর ইবনে মাস'ঊদ বর্নিত তাশাহুদ পড়বে , اشهد ان لا اله الا الله বলার সময় তর্জনীয দ্বারা ইশারা করবে, অর্থাৎ লা বলার সময় তর্জনে তুলবে এবং ইল্লাল্লাহ বলার সঙ্গে সঙ্গে নামিয়ে ফেলবে। 
প্রথম বৈঠকে তাশাহুদীর চেয়ে বেশি কিছু পড়বে না তাশাহুদটি হলো এই
 التحيات الله والصلوات والطيبات السلام عليك أيها النبي ورحمة الله وبركاته السلام علينا وعلى عباد الله الصالحين اشهد ان لا اله 
الا الله واشهد ان محمدا عبده ورسوله

তাশাহুদের অর্থ হল এই
“মৌখিকভাবে পেশকৃত যাবতীয় সম্মান ও অভিবাদন, শারীরিক ও আর্থিক সকল ইবাদত আল্লাহ তা'আলার জন্য নিবেদিত । হে নবী! আপনার প্রতি আল্লাহর পক্ষথেকে শান্তি, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। শান্তি আমাদের প্রতি এবং আল্লাহর সকল নেক বান্দার প্রতি বর্ষিত হোক । আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই এবং এও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সা) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল”।

(ফরয নামাযের) প্রথম দুই রাকআতের পরবর্তী রাকআতগুলোতে (কেবল) সূরা ফাতেহা পড়বে। এরপর (আখেরী রাকআত পড়ে) বসবে এবং তাশাহহুদ পড়বে। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের উপর দরূদ শরীফ (দরূদ ইবরাহীমী) পড়বে। তারপর কুরআন ও হাদীসের ভাষ্যের সাথে সামঞ্জস্য রাখে এরূপ দোয়া করবে, (যা কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হয়েছে)। তারপর ডান দিকে ও বাম দিকে সালাম ফিরাবে এবং বলবে
 السلام عليكم ورحمة اللة এসময় সালাম দ্বারা তাদের উদ্দেশ্য করবে, যারা তার সাথে রয়েছে,
যেমনটি ইতিপূর্বে বর্ণিত হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

হাসি কান্নার ওয়াজ

৪ সালের নাসির আহমাদ (গোপালগঞ্জ) সাহেবের হাসি কান্নার এক অসাধারণ বয়ান।

5ugarless থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.