নামাযের সুন্নতসমূহ
নামাযের সুন্নত একান্নটি ঃ
(১) তাহরীমার জন্য পুরুষও বাঁদী কর্তৃক তাদের দুই কান বরাবর এবং স্বাধীনা নারী কর্তৃক তার দুই কাঁধ বরাবর দুই হাত উত্তোলন করা,
(২) আঙ্গুলগুলো খোলা রাখা,
(৩) মুক্তাদীর তাকবীরে তাহরীমা ইমামের তাকবীরে তাহরীমার সাথে সাথে হওয়া।
(৪) পুরুষ কর্তৃক তার নাভির নিচে তার ডান হাতকে বাম হাতের উপরে রাখা ।
হাত রাখার নিয়ম এইযে, ডান হস্ততালুর পেট বাম হস্ততালুর পিঠের উপরে রাখবে, তার সাথে (ডান হাতের) কনিষ্ঠা আঙ্গুল ও বৃদ্ধা আঙ্গুল দ্বারা (বাম হাতের) কব্জির উপরে বেষ্টনী বাঁধবে।
(৫) মহিলা কর্তৃক তার দুই হাত তার বুকের উপরে বেষ্টনীকরণ ব্যতিরেকে রাখা।
হাত রাখার নিয়ম এইযে, ডান হস্ততালুর পেট বাম হস্ততালুর পিঠের উপরে রাখবে, তার সাথে (ডান হাতের) কনিষ্ঠা আঙ্গুল ও বৃদ্ধা আঙ্গুল দ্বারা (বাম হাতের) কব্জির উপরে বেষ্টনী বাঁধবে।
(৫) মহিলা কর্তৃক তার দুই হাত তার বুকের উপরে বেষ্টনীকরণ ব্যতিরেকে রাখা।
(৬) সানা পড়া,
(৭) কেরাআত পড়ার সময় اعوذ بالله من الشيطان الرجيم٠ পড়া।
(৮) প্রত্যেক রাক'আতের শুরুতে " بسم الله الرحمن الرحيم
(৯) সূরা ফাতেহার শেষে “আমীন” পড়া।
(১০) ربنا لك الحمد বলা,
(১১) উপরিউক্ত বিষয়গুলো (সানাসহ তার পরবর্তী বিষয় গুলো) আস্তে উচ্চরণ করা।
(১২) তাহরীমার সময় মাথা না ঝুঁকিয়ে স্বাভাবিকভাবে সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
(১৬) সূরা ফাতেহার সাথে মিলিয়ে যে সূরা পড়া হয় সেটা ফজর ও জোহরের নামাযে তিওয়ালে মুফাস্সাল১ থেকে, আসর ও ইশা'র নামাযে আওসাতে মুফাস্সাল থেকে এবং মাগরিবের নামাযে কিসারে মুফাসসাল থেকে হওয়া; (( পবিত্র কুরআনের সূরা হুজুরাত থেকে কুরআনপাকের শেষ পর্যন্ত সূরাগুলোকে ‘মুফাস্সাল' বলা হয় । এ সূরাগুলো আবার তিনভাগে বিভক্ত । সূরা হুজুরাত থেকে সূরা বুরূজের পূর্ব পর্যন্ত সূরাগুলোকে তিওয়ালে মুফাসাল, সূরা বুরূজ থেকে সূরা বায়্যিনাহ'র পূর্ব পর্যন্ত সূরাগুলোকে আওসাতে মুফাস্সাল এবং সূরা বায়্যিনাহ থেকে কুরআন পাকের শেষ অর্থাৎ সূরা নাস পর্যন্ত সূরাগুলোকে কিসারে মুফাস্সাল বলা হয় ।))
যদি নামাযী ব্যক্তি মুকীম হয় তবে তার জন্য উপরিউক্ত নিয়ম । কিন্তু যদি সে মুসাফির হয় তবে সে যে সূরা ইচ্ছা, পড়বে।
(১৭) কেবল ফজরের নামাযে প্রথম রাকআত দীর্ঘ করা,
যদি নামাযী ব্যক্তি মুকীম হয় তবে তার জন্য উপরিউক্ত নিয়ম । কিন্তু যদি সে মুসাফির হয় তবে সে যে সূরা ইচ্ছা, পড়বে।
(১৭) কেবল ফজরের নামাযে প্রথম রাকআত দীর্ঘ করা,
(১৮) রুকূর তাকবীর বলা,
(১৯) রুকূ'তে তিনবার "سبحان ربي العظيم " বলা।
(২০) (ব্রুকূ'র সময়) দুই হাত দ্বারা দুই হাঁটু শক্ত করে ধরা,
(২১) (হাঁটু ধরার সময় হাতের) আঙ্গুলগুলো ফাঁকা করে রাখা, তবে মহিলা তার আঙ্গুলগুলো ফাঁকা রাখবে না।
(২২) দুই পায়ের গোছা সোজা দণ্ডায়মান রাখা,
(২৩) (রুকূ'র সময়) পিঠ সমানভাবে বিছিয়ে রাখা,
(২৪) (রুকূ'র সময়) মাথাকে নিতম্বের সমান রাখা,
(২৫) রুকূ থেকে উঠা,
(২৬) রুকূর পর স্থির হয়ে সোজা দাঁড়ানো,
(২৭) সিজদায় যাওয়ার সময় প্রথমে দুই হাঁটু, তারপর দুই হাত, তারপর চেহারা (ভুমিতে) রাখাঃ
(২৮) সিজদা থেকে উঠার সময় তার (উপরিউক্ত বর্ণনার) বিপরীত করা।
(২৯) সিজদায় যাওয়ার তাকবীর বলা,
(৩০) সিজদা থেকে উঠার তাকবীর বলা ।
(৩১) সিজদা দুই হস্ততালুর মাঝখানে হওয়া,( সিজদায় চেহারা রাখার সময় প্রথমে নাক, তারপর কপাল রাখবে। )
(৩২) সেজদায় তিনবার سبحان ربي الاعلى বলা,
(৩৩) পুরুষের পেটকে তার দুই উরু থেকে এবং তার দুই কনুইকে তার দুই পার্শ্ব থেকে এবং তার দুই হাতের নিম্নভাগকে ভূমি থেকে পৃথক রাখা,
(৩৩) পুরুষের পেটকে তার দুই উরু থেকে এবং তার দুই কনুইকে তার দুই পার্শ্ব থেকে এবং তার দুই হাতের নিম্নভাগকে ভূমি থেকে পৃথক রাখা,
(৩৪) (সিজদার সময়) মহিলার নিচু হওয়া এবং তার পেটকে উরুর সাথে মিলিয়ে রাখা ।
(৩৫) প্রথম সিজদা থেকে উঠে পুরোপুরি সোজা হয়ে বসা,
(৩৬) দুই সিজদার মধ্যবর্তী উপবেশনে স্থৈর্য অবলম্বন করা,
(৩৭) দুই সিজদার মাঝখানে (বসা অবস্থায়) তাশাহ্হুদের আসনের মত দুই হাত দুই উরুর উপরে রাখা ।
(৩৮) (বসা অবস্থায়) বাম পা-এর তালু বিছিয়ে রাখা এবং ডান পা-এর তালু) দণ্ডায়মান
(৩৯) মহিলারা (বসা অবস্থায়) জমিনে নিতম্বই রেখে বসা,
( ৪0) সঠিক অভিমত অনুযায়ী আত্তাহিয়াতুর শেষে اشهد ان لا اله الا الله বলার সময় তর্জনী তারা ইশারা করা ,,
তখন,, لا,, বলার সময় আঙ্গুল তুলবে,, এবং الا الله, বলার সময় আঙ্গুল নামিয়ে নেবে ।
(৪১) (ফরয নামাযে) প্রথম দুই রাকআতের পরবর্তী রাকআতগুলোতে সূরা ফাতেহা পড়া ।
(৪২) শেষ বৈঠকে (আত-তাহিয়্যাতুর পর) রাসূলুল্লাহ(সাঃ)-এর উপর দরূদ পাঠ করা (অর্থাৎ,দরূদে ইবরাহীমী পড়া),
(৪৩) (দরূদের পর) এভাবে দোয়া করবে, যা কুরআন ও হাদীসের ভাষার সাথে সামঞ্জস্যশীল- মানুষের ভাষার সাথে নয় ।
(৪৪) সালাম ফেরাবার সময় প্রথমে ডানে, তারপর বামে চেহারা ফেরানো,
(৪৫) –বিশুদ্ধতম অভিমত অনুযায়ী- সালাম ফেরাবার সময় ইমাম কর্তৃক মুক্তাদীগণ, তার তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত ফেরেশতাগণ এবং নেক্কার জিনদের নিয়্যত করা ।
(৪৬) মুক্তাদী কর্তৃক ইমামের দিকে সালাম ফেরাবার সময় ইমামের নিয়্যত করা, মুক্তাদী যদি ইমামের বরাবর পেছনে বসে থাকে তবে উভয় সালামে ইমামের নিয়্যত করা। তারই সাথে, জামা'আতে উপস্থিত জনগণ, তাদের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতাগণ এবং নেককার জিনদের নিয়্যত করা,
(৪৪) সালাম ফেরাবার সময় প্রথমে ডানে, তারপর বামে চেহারা ফেরানো,
(৪৫) –বিশুদ্ধতম অভিমত অনুযায়ী- সালাম ফেরাবার সময় ইমাম কর্তৃক মুক্তাদীগণ, তার তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত ফেরেশতাগণ এবং নেক্কার জিনদের নিয়্যত করা ।
(৪৬) মুক্তাদী কর্তৃক ইমামের দিকে সালাম ফেরাবার সময় ইমামের নিয়্যত করা, মুক্তাদী যদি ইমামের বরাবর পেছনে বসে থাকে তবে উভয় সালামে ইমামের নিয়্যত করা। তারই সাথে, জামা'আতে উপস্থিত জনগণ, তাদের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতাগণ এবং নেককার জিনদের নিয়্যত করা,
(৪৭) একাকী নামায পালনকারী ব্যক্তি কর্তৃক কেবল ফেরেশতাগণের নিয়্যত করা
(৪৮) প্রথম সালাম অপেক্ষা দ্বিতীয় সালামের স্বর নিচু করা,
(৪৯) মুক্তাদীর সালাম ইমামের সালামের সাথে সাথে হওয়া,
(৫০) প্রথম সালাম ডানদিকে ফেরানো,
(৫১) মাসবূক ( যে ব্যক্তি ইমামের সাথে জামাআতে নামায পড়ার জন্য জামাআতে শামিল হতে বিলম্ব হওয়ায় তার নামাযের শুরু থেকে কিছু অংশ ছুটে যায় তাকে ফিকাহশাস্ত্রের পরিভাষায় “মাসবূক” বলা হয় । ইমাম দুই দিকে সালাম ফেরাবার পর মাসবূক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে তার অবশিষ্ট নামায পূর্ণ করবে। ) কর্তৃক (তার অবশিষ্ট নামায পূর্ণ করার উদ্দেশ্য দাঁড়াবার পূর্বে নামায থেকে) ইমামের অবসর হওয়ার অপেক্ষা করা ।
(৫০) প্রথম সালাম ডানদিকে ফেরানো,
(৫১) মাসবূক ( যে ব্যক্তি ইমামের সাথে জামাআতে নামায পড়ার জন্য জামাআতে শামিল হতে বিলম্ব হওয়ায় তার নামাযের শুরু থেকে কিছু অংশ ছুটে যায় তাকে ফিকাহশাস্ত্রের পরিভাষায় “মাসবূক” বলা হয় । ইমাম দুই দিকে সালাম ফেরাবার পর মাসবূক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে তার অবশিষ্ট নামায পূর্ণ করবে। ) কর্তৃক (তার অবশিষ্ট নামায পূর্ণ করার উদ্দেশ্য দাঁড়াবার পূর্বে নামায থেকে) ইমামের অবসর হওয়ার অপেক্ষা করা ।
.png)
কোন মন্তব্য নেই