Header Ads

Header ADS

উপন্যাস,, প্রেমপাপী,, এনায়েতুল্লাহ আলতামাস, (পার্ট ১)

প্রেম পাপী 

এনায়েতুল্লাহ আলতামাস 


(পার্ট ১)

চারদিকে আতকে। আস্থিরতা অসহায়ত্ব। বাবা ভাই আপনজন হারানোর নিখোঁজ হওয়ার সংবাদে প্রায় ঘরেই মাতম আর বিপদ যারা পরিবেশ। এটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা। বিশেষ করে যেসব এলাকা বা প্রদেশের অধিকাংশ জোয়ানরা ফৌজি চাকুরে সেখানে তো এই অসহ্য চিত্র ছিলো প্রতিদিনের মামুলি ঘটনা।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংরেজদের পক্ষে উপমহাদেশের মধ্যে পাঞ্জাব ও সীমান্তবর্তী এলাকার লোকেরা বেশির ভাগ ফৌজে ভর্তি হয়েছিলো। এজন্য ইংরেজরা ও এসব এলাকাকে পছন্দও করতো বিশেষভাবে।

এই অশান্ত অনিশ্চিত সময়ের মধ্যেও এমন কিছু লোক মাথা চারা দেয়, যারা হাসতে হাসতে মানুষদের আতংকিত মন ও অসহায় অবস্থান পুঁজি করে ব্যবসা ফেঁদে বসে। ফৌজি এলাকাতেই এ ধরনের লোকদের আনগোনা বেশি ছিলো। সহজ শিকার করার জন্য তাদের কাছেও এই এলাকাগুলো বিচরণ ক্ষেত্র হিসেবে দারুন পছন্দের ছিলো।
গ্রামাঞ্চলের এক থানার ইনচার্জ ছিলাম আমি। একেও ফৌজি এলাকা বলতো। একদিন এক গ্রাম্য এলাকা থেকে পাঁচজন লোক এলো থানায়। এর মধ্যে একজনকে বেশ অভিজাত মনে হলো।
মধ্যবয়সী হবে। চল্লিশ কি সাতচল্লিশ হবে। সে লোক নিজেকে আর্মির ক্যাপ্টেন বলে পরিচয় দিলো। পনের দিনের ছুটিতে এসেছে। পরিচয়টা এমন উঁচু আশায় দিলো যেমন ফৌজির অফিসার তার অধীনস্তদের হুকুম দিয়ে থাকেন।

সেনাবাহিনী সম্পর্কে ওয়াকিফ হাল ব্যক্তিরা জানেন আর্মির ক্যাপ্টেন সাধারণত অল্প বয়স হয়ে থাকে। কিন্তু এ লোক এই বয়সেও ক্যাপ্টেন! আসলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সৈন্য সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়াতে সেনা অফিসারের সংখ্যা কমে যায়। তখন শিক্ষিত অনেক সুবেদার ক্যান্টেনের পদাধিকার লাভ করে। সন্দেহ নেই এ লোকও সুবেদারি থেকে ক্যাপ্টেনের পদ পেয়েছে।

ক্যাপ্টেন আমাদের জানলো। এবার ছুটিতে আসার পর তাকে জানানো হলো, তার ছোট ভাইয়ের কাছে এক পীর সাহেব আসে। পীর সাহেব দাবী করে, তাদের ঘরে নাকি প্রাচীন এক ধনভাণ্ডাড় আছে। এটা বের করতে হলে পীরকে তিন রাত এখানে যাপন করতে হবে।
ঘরের সবাই তো খুব খুশি। কয়েক রাত কাটালো সে পীর। এক রাতে একটি ঘরের মেঝে খুড়তে শুরু করলো। একবার কোদাল দিয়ে কোপ বসাতেই কোন ধাতব পদার্থের উপর কোপ পড়লো । জিনিসটাকে চকচকে মনে হলো। পীর বাড়ির সবাইকে ফললো, এখন আর সামনে খনন করা যাবে না। দু'দিন পর আবার
শুরু করতে হবে।

এই বাড়ির মানুষ আর কোন দিন এত খুশি হয়নি। রাতের লা পীর সেই ঘর থেকে সবাইকে বের করে দিয়ে আবার সাধনায় বসলো। পরদিন সকালে বাড়ির লোকেরা দেখলো পীর কারেয়। ক্যাপ্টেনের ভাই বললো, পীর সাহেব ধনভাণ্ডার আমাদের উখিয়ে দিয়ে গেছেন। দু'দিন পর ধনভাণ্ডার নিজেই বেরিয়ে
তাদিন চলে যাওয়ার পর ছোট ভাই পীরের খোদাই করা গর্ত বাদল দিয়ে আরেকটু ঘুড়তেই একটি থালা বের হলো, এ থালার গত কিছুই নেই। গর্ত থেকে আরো অনেক খানি মাটি তোলা হলো। কিন্তু মাটি ছাড়া আর কিছুই আবিষ্কার করতে পারলো তারা।

ক্যাপ্টেনের ছোট ভাই থালাটি ভালো করে দেখে আরেকটি ধাপ্পা খেলো। আরে এই থালাটি তো ঐ পীরেরই ছিলো। ক্যাপ্টেন জানালো, ঐ পীর তার ভাইয়ের কাছ থেকে একবার পাঁচশত টাকা (তদানীন্তন পাঁচশ টাকা বর্তমানে অনেক টাকা) নিয়েছে। যতদিন সেখানে ছিলো বাড়ির লোকদের কাছ থেকে নানান ছুঁড়ো দিয়ে আরো অনেক পয়সা হাতিয়েছে। গ্রামের আরো দু'টি বাড়ি থেকেও এভাবে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিয়েছে।
যেদিন আমি গ্রামের বাড়ি পৌছি, ক্যাপ্টেন বললো, আমার ভাই অত্যন্ত লজ্জিত হয়ে আমাকে এ ঘটনা জানিয়েছে। পরদিন অন্য গ্রামের এক লোক আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একটু জিরিয়ে নেওয়ার জন্য বাড়ির দাওয়ায় এসে বসলো।
 
কথায় কথায় লোকটি বলো, তাদের গ্রামে এক পীর এসেছে। কামেল ওয়ালিআল্লাহ তিনি। গায়েবের খবরও দেন। লোকটি পীরের কিছু কারামতও শুনিয়ে গেলো।
পীরের আকার আকৃতি কেমন জিজ্ঞেস করলাম তাকে। সে ঐ পীরের বর্ণনাই দিলো। এখন সে ঐ লোকের গ্রাম ছেড়ে অন্য গ্রামে
চলে গেছে। আমাদের ঘোড়া আছে কয়েকটি। আমার ভাইসহ আমাদের গ্রামের তিনজন লোক নিয়ে আমরা ঘোড়ায় চড়ে বসলাম। যে গ্রামের কথা বলা হয়েছিলো সে গ্রামে পীরকে পাওয়া গেলো না। পীর আরো অনেক দূরের গ্রামে চলে গেছে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হলো আমাদের।

পর দিন সকালে আমরা যে গ্রামে পৌঁছলাম জানা গেলো পীর সাহেব এখানেই আছেন। গ্রামের একটি খোলা জায়গায় নতুন একটি কূপ খনন করা হয়েছে। কিন্তু পানি বের হচ্ছে না। কূপের কাছে গিয়ে দেখলাম, সেখানে বহুলোকের জমায়েত। পীর সাহেব কোথায় জিজ্ঞেস করতেই কয়েকজন চোখ মুখ গম্ভীর করে শোনালো আরে মিয়া! পীর তো খোদা আসমান থেকে পাঠিয়েছেন ষোল গজ খননের পরও কুপে পানির দেখা নেই। অথচ এ এলাকায় দশ-বার গজ খোদলেই পানির ঢেউ উঠতে থাকে। যমিনের এই আজব অংশের মাটি কেন এমন হয়ে গেলো।

পীর গ্রামে এসে পৌঁছলে গ্রামবাসীরা দৌড়ে গিয়ে আরষ করলো, ইয়া সরকার! কুয়া যে পানি দিচ্ছে না। পীর কূপের সামনে গিয়ে একবার নিচের দিকে তাকালো, তারপর আকাশের দিকে। তারপর বলতে লাগলো, কূপের মধ্যে তাকে নামিয়ে দেয়া হোক। কূপের মধ্যে তাকে নামানো হলো। নিচে গিয়ে উপর দিকে মুখ করে বললো, সবাই কূপ থেকে গুনে গুনে সাত কদম দূরে সরে যাও। লোকজন দূরে সরে গেলো। দশ-পনের মিনিট পর পীরের আওয়াজ শোনা গেলো। এসো লোকেরা! দেখে যাও! লোকেরা এগিয়ে গেলো কূপের দিকে।
থেকে আওয়াজ দিলো এই ক্যাপ্টেন তখনই সেখানে গিয়ে কূপ থেকে পানি বের হচ্ছে এই বলে যখন পীর কূপের নিচ থেকে আওয়াজ দিল এই ক্যাপ্টেন তখনই সেখানে গিয়ে পৌঁছল।


কূপ খননের সময় প্রথম যখন সামান্য পানি দেখা দেয় লোকেরা তখন উপর থেকে মোবারক মোবারক বলে নিচে পয়সা

এখানেও লোকেরা পীরের আওয়াজ পেয়ে কূপের চার পাশে, দৌড়াতে লাগল। ওপর থেকে দেখলো। বিস্ময় আর আনন্দে সবাই শ্লোগান দিতে শুরু করলো। ক্যাপ্টেনও একটু ঝুকে তীক্ষ্ম চোখে তাকালো। সামান্য একটু জায়গায় পানি চকচক করছে যাদের কূপ তারা এবং অন্যরাও নিচে পয়সা ছুড়ে দিতে লাগলো। এখানে ক্যাপ্টেনের বুদ্ধির প্রশংসা করতে হয়। কূপ সম্পর্কে লোকদের কাছ থেকে আগেই জেনে নিয়েছিলো। কূপের মালিকদের বললো, পীরকে বাইরে বের করে আনো।

পীরকে ওপরে টেনে তোলা হলো। ক্যাপ্টেন বলে গেলোআমার ভাই ও সঙ্গে আসা গ্রামের লোকেরা তাকে চিনে ফেললো। লোকদের বললাম, এই লোককে এদিক ওদিক যেতে দেবে না। আমার লোকেরা তাকে ঘিরে রাখলো। এসব মূর্খরা পীরকে নবীদের মতো মানে। লোকেরা তাই আমার বিরুদ্ধে হইচই শুরু করলো। তর্ক করে সময় নষ্ট করলাম না। শুধু বললাম, মেহেরবানী করে আমাকে কূপে নামিয়ে দিন। তারপর যা ইচ্ছা বলবেন
আমাকে ।

লোকেরা আমাকে রশি ও বালতির সাহায্যে কুপের মধ্যে নামিয়ে দিলো। ষোল গজ গর্ত কম নয় কিন্তু ধীরে ধীরে নামতে সময় লাগলো। নিচে নামতেই প্রস্রাবের কুটগন্ধ লাগলো নাকে। ওপর থেকে যেটা পানি বলে ভ্রম হয়েছিলো। নিচে এসে দেখি সেটা প্রস্রাব। দুর্গন্ধে আমার নারী-ভুড়ি উল্টে আসার যোগাড় হলো। শক্ত বেলে মাটি হওয়াতে প্রসার মাটি চুষে নিচ্ছিলো না।
ক্রুপের এক মালিককেও বলে কয়ে ওপর থেকে নামলাম। নিচে নেমেই সে চোখ মুখ কুচকে বললো, গন্ধ কিসের এখানে? আমি তাকে বললাম, তোমাদের পীর যে পানি বের করেছে সে পানি শুকে দেখো। লোকটি হাঁটু মুড়ে বসে পানির ওপর পুরোপুরি ঝুঁকতেও পারলো না, এক ঝটকায় পিছনে ফিরো এলো। তাকে বললাম, এখানে কোদাল চালাও। সে কোদাল চালালো। নিচ থেকে শুকনো মাটি ছাড়া আর কিছুই বের হলো না। মালিক বুঝতে পারলো, আকাশ থেকে নেমে আসা তাদের পীর সাহেব প্রস্রাবের চমক দেখিয়ে অনেক পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে।


ওপরে এসে দেখলাম, পীর সবাইকে ভয় দেখাচ্ছে, তার সাথে এই বেয়াদবির পরিণাম খুব খারাপ হবে। গ্রামের ওপর কহর গজব পড়বে। তখন বালতির রশি দিয়ে বেঁধে কুপের ভেতর দিকে বুলিয়ে দিলাম তাকে। পীর বদদুআ দিয়ে চললো। লোকেরা যখন তার এই ধোকাবাজি সম্পর্কে জানতে পারলো। তারা পীরকে ঢিল ছড়তে লাগলো।
এবার পীর বাঁচার জন্য চিৎকার শুরু করে দিলো। আমি লোকদের ঢিলা ছুড়তে বারণ করলাম। আর পীরকে বাধনযুক্ত করে। জিজ্ঞেস করলাম- সে কে?
সে হাতজোড় করে বললো, আমার কাছ থেকে সব পয়সা নিয়ে নাও আর আমাকে ছেড়ে দাও। আমার ভাই তো ওকে জানে। মেরে ফেলতে চাইলো। আমি তাকে থামিয়ে বললাম, একে পুলিশের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে। একজন জানালো, পীরের সঙ্গে


=আরো দুজন লোক ছিলো, ওদেরকে খোঁজা হলো। কিন্তু ততক্ষণে ওরা কেটে পড়েছে।
সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিলো। তাই রাত করে থানায় যাওয়াটা 1. কষ্টকর। এজন্য পীরকে নিয়ে আমাদের গ্রামে এলাম। যে ঘরে সে ধনবাত্তার আছে বলে গায়েবী খবর দিয়েছিলো সে ঘরেই তাকে বন্দি করে রাখা হলো। দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিলো। কিন্তু সকালে উঠে দেখা গেলো পীর গায়েব! ঐ ঘরের আরেকটি দরজা । ছিলো। সেটা বন্ধ করার কথা কারো মনে ছিলো না। দরজা


ভেতরের দিকে। এটা দিয়ে অন্যান্য কামরাতেও যাওয়া যায়। কামরার শিকবিহীন একটি জানালা আছে। ঐ ভগু ঐখান দিয়েই পালিয়েছে।
পীরের আবারও বর্ণনা দেওয়া হলো, ছয়ফুট লম্বা, বয়স ত্রিশবত্রিশ। রং বাদামী কিছুটা গৌর। স্বাস্থ্য খুব চমৎকার। চেহারা গোলাকার, যে কারো কাছে ভালো লাগরে। চোখের দৃষ্টি গাঢ়। ঘন কালো দাড়ি, সুন্দর করে হাঁটে। মাথার কুচকুচে কালো চুল ঘাড় অবধি নেমে এসেছে। তার পাগড়ি বাঁধা উঁচু করে। গায়া সবুজ রঙ্গের আলখেল্লা

ধোঁকাবাজ পীর যাকে এখন আমি আসামী বলবো। তাকে সনাক্ত করার সবচেয়ে বড় আলামত আমাকে জানা হলো, তার বাম।
চোখ নষ্ট। সে চোখে সাদা কাপড়ের লম্বা চৌড়া পটি বাধা।

তথ্যটা আমাকে আশান্বিত করে তুললো। কারণ, আসামীর জন্য এটা এমন এক আলামত যেটা সে লুকিয়ে রাখতে পারবে না। তার সঙ্গে যে দুজন লোক ছিলো তাদের দাড়ি ছিলো বেশ লম্বা। তবে একজন মধ্যবয়সী আরেকজন যুবক।


অন্য কেউ হলে আমি এ কেস নিতাম না। বলতাম, তোমরা জেনে শুনে বেওকুফী করবে আর ভ-দের কথায় নাচানাচি করে ,সর্বস্ব হারাবে আর থানায় এসে আমাদেরকে উটকো ঝামেলায় জড়াবে। কিন্তু বাদী বা বিচারপ্রার্থী ছিলো এক ফৌজি ক্যাপ্টেন। এর অর্থ এই নয়, আমরা পুলিশরা ফৌজকে অনেক ভয় পেতাম।
।আসল ব্যাপার হলো, সে তখন কথা বলছিলো বিশুদ্ধ ইংরেজিতে। এজন্য ইংরেজ শাসক সেনাবাহিনীর লোকদের বেশ খাতির যত্ন করতো। এমনকি সমস্ত পুলিশ বিভাগে লিখিত এই আদেশনামা জারী করা হয়, তোমাদের কাছে কোন সেনা যদি কোন অভিযোগ নিয়ে আসে তাহলে তার অভিযোগ দূর করার সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। প্রতিটি জেলার ডিপুটি পুলিশ কমিশনারের মাধ্যমে সবাই এ হুকুম পেয়ে যায়।

এই এক কারণে এই মামলা আমি গ্রহণ করি। অনেকটা কারণ হলো। আমার এলাকায় প্রতারণার এই ঘটনা ঘটার অর্থ হলো এ এলাকার অপরাধ জগতের লোকেরা বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে। এখনই এদের না থামালে বড় বিপদজ্জনক হয়ে উঠতে সময় লাগবে না। তাছাড়া আসামী কোন এলাকার তাও জানা নেই। জানা থাকলে ছদ্মবেশী আসামী ধরা খুবই মুশকিলের কাজ । অবশ্য আসামী অন্য এলাকার হলে আমার এলাকার পেশাদার আসামীদের সহযোগিতা নিতে হবে আমাকে। অপরাধীদের মধ্যে একটা নীতি আছে। সেটা হলো, প্রত্যেক অপরাধী নির্ধারিত এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় গিয়ে অপরাধকর্ম করে না।
আমি ক্যাপ্টেনের রিপোর্ট অনুযায়ি এফ. আই. আর. লেখালাম। তারপর কয়েকজন কনস্টোবল নিয়ে তাদের গ্রামে গেলাম। থানা থেকে চার মাইলেরও অধিক দুরত্বে তাদের গ্রাম।

কোন মন্তব্য নেই

হাসি কান্নার ওয়াজ

৪ সালের নাসির আহমাদ (গোপালগঞ্জ) সাহেবের হাসি কান্নার এক অসাধারণ বয়ান।

5ugarless থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.