Header Ads

Header ADS

উপন্যাস,, প্রেমপাপী,, এনায়েতুল্লাহ আলতামাস, (পার্ট ২)

 প্রেম পাপী 

এনায়েতুল্লাহ আলতামাস 


(পার্ট ২)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যখন শুরু হলো তখন যারা ফৌজি চাকুৰি,

পছন্দ করতো না তাদের ঘর থেকেও জোয়ানরা সেনাবাহিনীতে ভর্তি হতে লাগলো। এমন কোন বাড়ি ছিলো না সেখান থেকে একাধিক জোয়ান সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়নি। এমন ভয়ংকর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ দুনিয়াতে আর কয়টা হয়েছে। গ্রাম্য এলাকায় এসব জোয়ানরা কোন না কোন ফ্রন্টে লড়াইয়ে শামিল ছিলো। ভাই আহত নিহত হওয়ার খবর প্রতিদিনই আসতে লাগলো, প্রতিদিনই কোন না কোন বাড়িতে সরকারি কর্মকর্তারা এসে জানাতো, তোমাদের ছেলে বা ভাই যুদ্ধবন্দি হয়েছে বা মারা গেছে। শোক, আতংক, আর হতাশার গাঢ় মেঘ এসব ফৌজি এলাকাকে ঘিরে রেখেছিলো।

ফৌজের মা বাপ, ভাই-বোন, স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ি আত্মীয় স্বজন সবার শেষ ভরসা এখন নতুন নতুন গজে উঠা পীর মুরশিদ। তাবিজ আর ঝাড়ফুক করে পীরেরা তাদের দুশ্চিন্তা দূর করে দিতো। কোন বাড়ির কেউ ফৌজ থেকে ছুটি ভালোমন্দ কোন সংবাদ এলে পীরের কাছে কাড়ি কাড়ি নযরানা চলে যেতো।
এলে বা

আরেক পীর এজন্য নিজের কিছু লোক বিভিন্ন গ্রামে চর নিয়োগ করে। তারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিভিন্ন বাড়ির ভেতর বাইরের সংবাদ জেনে আসে। কোন বাড়ির কতজন জোয়ান কোন ফ্রন্টে আছে এটা জেনে নিতে পারলেই পীরদের কৈল্লা ফাতাহ। তারপর তারা যেকোন এক গ্রামে গিয়ে ডেরা ফেলতো। কোন উদ্দেশ্যে কেউ এলেই পীর বলে দিতো তাদের বলার আগেই, তোমার ছেলে বা ভাই বার্মা ফ্রন্টে বড় বিপদজ্জনক অবস্থায় আছে। তারপর তাদের করণীয় সম্পর্কে উপদেশ দিতো কিছু এবং কিছু ভাজি কবজও ধরিয়ে দিতো। কয়েক মুহূর্তেই পকেট ভরে যেতো কাঁচা পয়সায়। আর পেট পুড়ে উদর পূর্তির পর্ব তো আছেই ।

ক্যাপ্টেনদের বাড়িটি বিশাল। তাদের বিস্ত জায়গা জমি আছে। এদের পূর্বপুরুষরাও সরকারি ফৌজের সদস্য ছিলো। ইংরেজ সরকার তাদেরকে নদী এলাকায় আবাদযোগ্য বিস্তৃত এলাকা দান করেছে। পুরো বাড়িই বিভিন্ন আয়তনের দালান কোঠায় বিন্যস্ত।
ভণ্ডপীর যে ঘরে ধনভাণ্ডার আছে বলে ধোঁকা দিয়েছিলো সে ঘরে গেলাম আমি। দুই ফুট প্রশস্ত এবং ততটুকুই গভীর। এর পাশে একটি কোদাল ও একটি থলে আছে। 

ঘরের মধ্যে অব্যবহৃত একটি খাট। পুরনো সুটকেস ও কিছু আসবাবপত্র দেয়াল ঘেসে রাখা আছে।
পাশের ঘরের সঙ্গে লাগোয়া দরজাটি খুলে আমি পাশের ঘরে গেলাম। এই ঘরটি খাট পালংক ও নানান আসবারপত্র দিয়ে পরিপাটি করে সাজানো। যে জানালা গলে পীর পালিয়েছে সেটা দেখানো হলো আমাকে। দৈর্ঘ্য জনালাটি ৫ ফুট। পাশে দুই ফুট। জানালার চৌকাঠটি মেপে দেখলাম ১৩ ইঞ্চি। জানালার চার পাশের ফ্রেমটি নোংরা ঝুল আর মাকড়সার জালে নোঙরা হয়ে আছে।

পীরের দৈহিক যে বর্ণনা আমাকে দেওয়া হয়েছে এতে নিশ্চিত . করে বলা যায় এত বড় দেহ দুই ফুট প্রশস্ত জানালা গলে বের হওয়া একেবারেই অসম্ভব। হতে পারে সে কাত হয়ে জানালা পার হয়েছে। সে ক্ষেত্রে জানালার সমস্ত ঝুল মায়লা তার দেহে লেগে পরিস্কার হয়ে যেতো। কিন্তু স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। জানালা পরিস্কার করা হয় না অনেকদিন। অর্থাৎ এখান দিয়ে যে কেউ বের হয়নি এটা নিশ্চিত।

আসামী যে এই জানালা গলে বের হয়নি ঘরের কাউকে এর প্রমাণ দিলাম না আমি। জানালার ওপাশে গোয়াল ঘর এবং প্রশস্ত আঙ্গিনা। জানালাল নিচের মাটি কাঁচা। আমি গভীরভাবে পরখ করলাম। না এখানে কারো পায়ের ছাপ নেই। এমন কাঁচা মাটিতে পায়ের ছাপ পড়লে সেটা মুছে ফেলাও অসম্ভব ।

ক্যাপ্টেন সাহেবকে আমি জিজ্ঞেস করলাম

: আসামী এই জানালা পথে বের হয়েছে এটা কি আপনি নিশ্চিত?

: হ্যাঁ অবশ্যই। ঘরের ভেতরের দরজা খুলে আসামী এই কামরায় আসে এবং তার চোখে জানালাটি নজরে পড়ে। এটা দিয়ে সে গোয়াল ঘরের আঙ্গিনায় আসে এবং বড় দরজা দিয়ে বের হয়ে যায়। এছাড়া তো আর কোন পথ ছিলো না।

বাড়ির মূল অংশে চলে গেলাম আমি। এ অংশটি বেশ ঝকঝকে তকতকে। বাড়ির লোকেরা কোথায় ঘুমোয় এটাও জেনে নিলাম এক ফাঁকে। আমি আসলে বের করতে চাচ্ছিলাম ভণ্ডপীর বের হয়েছে কোন দিক দিয়ে। আপত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে। সে যেখান দিয়েই বের হোক, বের তো হয়েই গেছে। কিন্তু আমার সন্দেহ বরং এরকম বিশ্বাস যে আসামী নিজের চেষ্টাতে বের হতে পারেনি। কেউ তাকে সহযোগিতা করেছে। ঐ জানালা দিয়ে সে বের হয়নি। আমার ধারণা সঠিক হলে তার সাহায্যকারী বাড়ির চাকরবাকর হতে পারে। অথবা বাড়িরই অন্য কেউ হতে পারে। এবং এদের কেউ অপরাধের সঙ্গে জড়িতও থাকাটা আশ্চর্যের কিছু হবে না তখন।।
আরেকটা ব্যাপার হতে পারে যেটা এখনই বলতে চাই না। সেটা হলো সেই রহস্যময় পীর কোন নিগুঢ় রহস্যের বীজ বুনে গিয়ে থাকতে পারে। এমন হলে কাহিনীর প্রতিটি বাক্যই যে চমকেরপর চমক সৃষ্টি করে যাবে এতে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই ।

এবার ঘরের মহিলাদের প্রতি নজর দিলাম। এখানে ক্যাপ্টেনের বৃদ্ধা মা আছে। ছোট ছেলের ঘরে থাকে। আরেকজন হলো ক্যাপ্টেনের বোন। ত্রিশোধ্য নারী। তার একটি বাচ্চা আছে। স্বামীর সঙ্গে বনাবনি হচ্ছে না বলে বছর খানেক ধরে বাপের বাড়ি পড়ে আছে। মোটামুটি ধরনের চেহারা, তবে স্বাস্থ্যুটি বেশ অটুট— লাবণ্যময়ী। সব মিলিয়ে আকর্ষণীয় নারী। তৃতীয় নারী হলো, ক্যাপ্টেনের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী। ননদের চেয়ে অনেক সুন্দরী। বয়স সাতাশ আটাশ হবে। এদের সবার কাছ থেকেই ঘটনার জবানবন্দি নেব আমি । শুরু করলাম ক্যাপ্টেনের ভাইকে দিয়ে অনেক দিন ধরেই মানুষের মুখে মুখে কথা ছড়াচেছ, আল্লাহর এক বিশেষ বান্দা এখান দিয়ে যাবেন, ক্যাপ্টেনের ডাই বলতে শুরু করলো, কেউ বললো, তিনি পায়ে হেঁটে হজ্জে যাচ্ছেন এবং তাকে যে কেউ তার মনোবাসনার কথা আরয় করে সেটা তিনি পূরণ করে দেন। কেউ বললো, আল্লাহর দরবার থেকে ইলম দান করা হয়েছে তাকে বিভিন্ন নগরে শহরে গ্রামে ঘুরে ঘুরে মানুষের মনোবাসনা পূরণ করো। তাই কিছু না জানালেও তিনি মনের ভেদ এমনিই ।

জেনে নিতে পারেন। তার অলৌকিক কারামতের কাহিনী ফৌজে দ শোনালে মানুষের বিশাল জটলা বেঁধে যেতো। ভ-পীর মানুষের মধ্য থেকে আজো কমেনি। যেখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির রাজত্ব চলছে। সহীহ পীর ফকীর যে নেই এমন নয়। তবে তারা সংখ্যায় খুবই কম। ভণ্ড পীরের মুরীদরা তাদের পীরের ক্ষমতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে এমন গাজাখুরি কাহিনী ফেঁদে বসে শুনলে মনে হবে সে কোন নবীর চেয়েও বড় কারামত ওয়ালা।
আসলে এসব অভিরঞ্জনের কারণ হলো, নিজকে যে পীর মনে করে সে লোক আসলে কামেল লোক না। ক্যাপ্টেনের ভাইয়ের স্ত্রীর অবস্থাও ছিলো এমনই। প্রথমত স্বামী বিচ্ছেদের সমস্যা। দ্বিতীয়তঃ তার বিয়ে হয়েছে সাত আট বছর এখনো বাচ্চার মুখ দেখতে পারেনি। সে আগেই ঠিক করে রেখেছিলো, পীরের পবিত্র পদধুলি এ গ্রামে পড়লেই সে তার কাছে ছুটে যাবে এবং বলবে তার বোনকে যেন তার স্বামী নিয়ে যায় এবং তাকে একটি সন্তানের ভাগ্য দান করে।

এর মধ্যে একদিন পীরের পদধূলি ঐ গ্রামে পড়লো। এক বাড়িতে তার আস্তানা জমে উঠলো। সে বাড়ি ও বাড়ির আশপাশের রাস্তা-ঘাট ভক্ত মুরিদদের আনাগোনায় সবসময় সরব হয়ে থাকে। একদিন এক মহিলা এসে সালাম জানালো। তার দুই ছেলে ইংরেজ সেনাবাহিনীতে গিয়েছে। পীর তাকে দেখতেই বলে উঠলো তোমার দুই ছেলে একেবারে সুস্থ আছে। চিন্তা করো না। ওদের জানের সদকা দিয়ে দাও। ওরা যে বার্মাফ্রন্টে আছে একটু বিপদজনক অবস্থায় ছিলো তারা। এখন ভয় কেটে গেছে। আমি একটা তাবিজ দিয়ে দেবো । বাড়ির প্রথম দরজায় লাগিয়ে দেবে।

সেখানে যারা ছিলো সবাই হয়রান হয়ে গেলো, সুবহানাল্লাহ! পীর সাহেব নিজেই তার মনোবাসনা বুঝে নিয়েছেন। আরো কয়েকজন সৈনিকের মা পীরের কাছে আসে। পীর প্রত্যেকের ব্যাপারেই ঠিকঠাক বলে দেয় তার ছেলে অমুক ফ্রন্টে আছে। পীরের বারান্দা কয়েক ঘন্টাতেই ভরে যায় হাদিয়া তোহফায়।

পীরের সঙ্গে তার দুই শাগরেদও ছিলো। পীর এক ঘরে ধ্যান করে। আর সেই দু'জন পাশের কামরায় অবস্থান নেয়। পীরের সাক্ষাতে কেউ আসলে ঐ দু'জন প্রথমে তার মনোবাসনা কথা জেনে নেয় এবং নির্ধারিত কোন ইংগিতে পীরকে জানিয়ে দেয় যে এই মক্কেল এই এই সমস্যা নিয়ে এসেছে। পীরে মক্কেলকে দেখেই তার মনের সব কথা তার সামনে তুলে ধরে। মক্কেলের তখন বিস্ময়ের সীমা থাকে না।

ক্যাপ্টেন; যার নাম আমি সুবিধার জন্য রেখেছি আদালত। আদালত এসব কারামত দেখে পীরকে তার বাড়িতে নিয়ে এলো। পীর এত বিলাশিতা দেখে বুঝে ফেললো, এদের অনেক পয়সা আছে। কিছু হাতিয়ে না নিলে মনে শান্তি পাবো না।
তুমি তো খুব সামান্যই চেয়েছো পীর তাচ্ছিল্য করে বললো এখানে সুলাইমান আ. এর ধনভাণ্ডার চাপা পড়ে আছে। তোমরা এর উপর দিয়ে চলাফেরা করছো। তোমার সন্তানাদি হবে না মানে, অবশ্যই হবে। আর তোমার বোনের চিন্তা মন থেকে দূর করে দাও।
 

এই চাদের পূর্ণিমাতেই এর স্বামী এসে ওকে নিয়ে যাবে। এমনিতেই ওর স্বামীকে খেপাটে মনে হলেও ভেতর ভেতর সে খুবই অনুতপ্ত। আজ রাতে তোমার বোন ও স্ত্রীকে আমার কাছে নিয়ে এসো। তবে ওদেরকে সম্পূর্ণ পবিত্র হয়ে অযু করে আসতে
শাহে সুলাইমানের খামানার কথা কী বললে যেন সরকার! আদালত চরম হয়রান হয়ে জিজ্ঞেস করলো।
অনেক পুরনো খাযানা। শতশত বছর পেরিয়ে গেছে। খাযানা কোথায় আছে এটা আমাদের দেখতে হবে। পুরনো থামানা বা ধনভাণ্ডার মাটির নিচে দাফন করা থাকলে সেটা আপনা আপনি চলাফেরা করে। জিন বা কালনাগের প্রহরা এর ওপর অবশ্যই থাকে। এ অবস্থায় এর ওপর হাত দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। অনেক কিছু করতে হবে। এই বাড়ির মাটি আমাকে বলছে, তার গেটে সোনার ঘড়ি আছে।

মন ভাঙার বা গুপ্তধনের গল্প কাহিনীতে মানুষের আগ্রহ খুব বেশি। এর অর্থ হলো অধিকাংশ মানুষই হাস্যকর হলেও মনে গোপনে এ স্বপ্ন লালন করে, একদিন যদি কোন গুপ্তধনের সন্ধান পেয়ে যেতাম, তাহলে ভাগ্য ফিরে আসতো। মানুষের আরেকটি বিশ্বাস আছে, এসব খাখানা বা গুপ্তধনের সন্ধান একমাত্র জাদুকর বা কামেল পীররাই দিতে পারে। তাই খাযানার কথা শুনে আদালতের ভেতরও হাজারো রঙ্গীন স্বপ্ন মাথাচারা দিয়ে উঠে। পীরকে তার মনে হয় আকাশ থেকে নেমে আসা কোন ফেরেস্তা।
গুপ্তধনের কথা শুনে তুমি তো বেশ খুশি হয়েছে। পীর আদালতকে বললো কিন্তু তুমি তো এটা জানো না, এই খাযানা যতদিন তোমাদের বাড়ির মাটির নিচে থাকবে ততদিন তোমাদের ঘর থেকে আপদ দূর হবে না। তোমার বোন ঘরে পড়ে আছে আর তোমার স্ত্রীর কোল খালি। এটাও একটা অলক্ষণ ।

ঐ খাযানা যদি বের হয়ে আসে তাহলে কি সেটা আজ কোথাও নিয়ে গিয়ে মাটি চাপা দিতে হবে? আদলত জিজ্ঞেস করলো।
না খাযানা বের হয়ে এলে এর অপকারিতা দূর হয়ে যাবে এবং এর মালিক হবে তখন ভূমি। পীর বললো।
আদালতের বউ ও তার বোন তো আগ থেকেই পীরের নানান উড়ো উড়ো কারামতের কথা শুনে তার ভক্ত হয়ে গিয়েছিলো। যখন খাযানার আওয়াজ পৌছলো ওদের কানে তখন তো সবাই পীরের দরবারে এসে মাথা ঠুকতে লাগলো।

পীর জানিয়ে দিলো। এ ঘরে তাকে ছয় সাত রাত চিন্তা করতে হবে। রাত জাগতে হবে। তবে শর্ত হলো, কোন কিছুর প্রয়োজন হলে সে মুখ থেকে শব্দ বের করতে পারবে না। শুধু তালি ■ বাজাবে। তখন ভেতরে শুধু নারীরাই আসতে পারবে। তবে আধু করে সম্পূর্ণ পবিত্র অবস্থায়। এ কথা বলে পীর ধ্যান করে কি ।একটা হিসাব করলো। তারপর বললো। এ বাড়িতে যার নাম তা ।অক্ষ্যর দিয়ে শুরু সেই ভেতরে আসতে পারবে।

আদলের স্ত্রীর নাম ছিলো তাজ বেগম। তাজ দারুন খুশি হলো, এত বড় আল্লাহর পিয়ারা বুযুর্গ খেদমতের জন্য তাকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। সে রাতেই চিন্তা শুরু হয়ে গেলো। 

তাজকে পাশের কামরার দরজায় পৌঁছে দেওয়া হলো। আদালতকে আমি
জিজ্ঞেস করলাম। পীর সাহেব তাজকে প্রতি রাতে কতবার করে ডাকতো। আদালত জানালো। সে শুয়ে পড়েছিল। সকালে তাজ 
 

কোন মন্তব্য নেই

হাসি কান্নার ওয়াজ

৪ সালের নাসির আহমাদ (গোপালগঞ্জ) সাহেবের হাসি কান্নার এক অসাধারণ বয়ান।

5ugarless থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.